বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলায় আসামি করার অভিযোগ সাবেক নারী কাউন্সিলরের

  • প্রতিনিধি, ঝালকাঠি   
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৯:৩৮

উপস্থিত সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে সাবেক কাউন্সিলর বলেন, ‘ওই মিছিলে হামলার ঘটনায় আমি মোটেও জড়িত ছিলাম না। আমি ২০২১ সালে কাউন্সিলর পদে পরাজিত হওয়ার পর সকল ধরনের দলীয় কর্সসূচি থেকে নিজেকে বিরত রাখি, কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় ঝালকাঠি আমতলা রোডস্থ আবদুল কুদ্দুস হাওলাদার লেলিনের স্ত্রী শারমীন লেলিন মুক্তা সদর থানায় যে মামলা দায়ের করেছেন, সেটিতে আমাকে প্রতিহিংসা বশবর্তী হয়ে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অসত্য তথ্য দিয়ে হয়রানির করার জন্য আমাকে ৭৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে।’

হয়রানি করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঝালকাঠি সদর থানায় হওয়া মামলার আসামির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন পৌরসভার সাবেক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মোসাম্মৎ সীমা।

সকালে পৌর এলাকার নেছারাবাদে নিজ বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সীমা বলেন, ‘আমি একজন সাধারণ শান্তিপ্রিয় গৃহিণী। আমার স্বামী মো. সাইফুল ইসলাম একজন ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন যাবত আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নই। ২০১৬ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার সংরক্ষিত (৪, ৬ এবং ৭ নং ওয়ার্ড) নারী কাউন্সিলর পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হই।

‘২০২১ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তৎকালীন আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী কেন্দ্র দখল করে আমাকে নির্বাচিত হতে দেয়নি। সেই থেকে আমি স্বামী-সন্তান নিয়ে নিরিবিলি জীবনযাপন করতে থাকি। আমি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পাই বিগত ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসের কর্মসূচি পালনকালে ঝালকাঠিতে বিএনপির মিছিলে হামলার অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৯৩ জন নেতা-কর্মীর নামে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হযেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল, ঝালকাঠি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোসাম্মৎ মুক্তা বেগম এ মামলাটির বাদী হয়েছেন, কিন্তু এই মামলায় আসামির তালিকায় আমার নাম দেয়া হয়েছে, যা শতভাগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানিমূলক এবং মিথ্যা অপবাদ। মামলার এজাহারে উল্লেখিত ঘটনার তারিখ ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারী। ওই সময় আমি আমার কন্যার বিবাহ নিয়ে বাড়িতে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ১৫ জানুয়ারি আমার কন্যাকে তুলে দিই। একই সাথে আমি আমার নতুন বাড়ি নির্মাণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করি।’

উপস্থিত সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে সাবেক কাউন্সিলর বলেন, ‘ওই মিছিলে হামলার ঘটনায় আমি মোটেও জড়িত ছিলাম না। আমি ২০২১ সালে কাউন্সিলর পদে পরাজিত হওয়ার পর সকল ধরনের দলীয় কর্সসূচি থেকে নিজেকে বিরত রাখি, কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় ঝালকাঠি আমতলা রোডস্থ আবদুল কুদ্দুস হাওলাদার লেলিনের স্ত্রী শারমীন লেলিন মুক্তা সদর থানায় যে মামলা দায়ের করেছেন, সেটিতে আমাকে প্রতিহিংসা বশবর্তী হয়ে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অসত্য তথ্য দিয়ে হয়রানির করার জন্য আমাকে ৭৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মামলার বাদী আমাকে চেনেন না এবং আমিও তাকে চিনি না। তার সাথে আমার কোনো পূর্ব পরিচয় বা শত্রুতা নাই। আমি এ ধরনের মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

‘সত্য সমাগত ও মিথ্যা অপসারিত; আজ বা কাল প্রতীয়মান হবেই হবে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে সাময়িক ভোগান্তিতে ফেললেও প্রশাসনের সঠিক তদন্তে সত্য একদিন উম্মোচিত হবে বলে আমি আশা রাখি।’

এ বিভাগের আরো খবর