বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টেকনাফে গ্রেপ্তার যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান

  • প্রতিনিধি, কক্সবাজার    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৪:১৩

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন চৌধুরী জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপপরিদর্শক মো. জয়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে ইমাম হাসান তাইমকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান। টেকনাফে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের হেফাজতে আনা হয়।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানকে কক্সবাজারের টেকনাফ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন চৌধুরী জানান, সোমবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপপরিদর্শক মো. জয়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে ইমাম হাসান তাইমকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান। টেকনাফে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের হেফাজতে আনা হয়।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, বিষয়টি ঢাকায় সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহত করা হয়েছে। সেখান থেকে পুলিশের একটি দল কক্সবাজারে আসছে। তারাই আবুল হাসানকে ঢাকা নিয়ে যাবে।

নিহত তাইম নারায়ণগঞ্জ সরকারি আদমজী নগর এম. ডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

গত ২০ আগস্ট নিহত তাইমের মা পারভীন আক্তার ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ ৫ জনের নামে এ মামলা করেন।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন পুলিশের এডিসি শাকিল মোহাম্মদ শামীম ও এসি তানজিল আহমেদ।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সরকার কারফিউ জারি করে। ওই দিন দুপুর ১২টা থেকে দুইটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। ওই সময় তাইম তার দুই বন্ধুর সাথে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় চা পান করতে যান। সে সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছিলেন।

বিক্ষোভের সময় ডিসি ইকবাল হোসেন, শামীম ও তানজিল আহমেদের নির্দেশে জাকির হোসেন ও তার সঙ্গীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও গুলি ছোড়েন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, প্রাণ ভয়ে আন্দোলনকারীরা এলোপাতাড়ি ছোটাছুটি করতে থাকেন। তাইম ও তার দুই বন্ধু লিটন চা স্টোরের ভেতর ঢুকে দোকানের শাটার টেনে দেন, কিন্তু শাটারের নিচের দিকে আধা হাত খোলা ছিল। সেখানে অবস্থানকারীদের পুলিশ টেনে বের করেন।

গুলি থেকে বাঁচতে চাইলে দৌড় দিতে বলেন জাকির হোসেন। তখন তাইম সবার আগে দৌড় দেন। জাকির গুলি করেন। বিনা চিকিৎসায় সেখানেই মৃত্যু হয় তাইমের।

এ বিভাগের আরো খবর