বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়তে অনেকদূর এগুতে হবে: তারেক রহমান

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২১:১২

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন; বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সব মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সবল ও শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে এখনও অনেক দূর এগুতে হবে। কারণ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এখনও গণতন্ত্রের দুর্বলতা বিদ্যমান।

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্র হচ্ছে সর্বজনীন মূল্যবোধ, যা জনগণের স্বাধীন ভাব প্রকাশ ও বাধাহীন চিন্তা প্রকাশের স্বীকৃতি প্রদান করে। ব্যক্তিগতভাবে আমি ও আমার দল বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রের নীতিগুলো প্রচার ও সমুন্নত রাখার বিকল্প নেই।

‘আমরা এ ধরণের একটি নিরাপদ, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সংকল্পবদ্ধ- যা রাষ্ট্রীয় সীমানা অতিক্রম করে বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক বিকাশে ভূমিকা রাখবে।’

গণতন্ত্র সম্পর্কে এবং এর অন্তর্নিহিত শক্তি উপলব্ধি করতে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর প্রচলিত একটি বিশেষ দিন হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি আত্মদানকারী শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তিনি জানান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কালজয়ী দর্শন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মর্মমূলে ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র। এর ভিত্তি ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার। এই চিন্তা ও দর্শনকে আপোষহীন সংগ্রামের নিরবচ্ছিন্ন পথচলায় অগ্রগামী করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

তারেক রহমান বলেন, ‘গণআকাঙ্ক্ষায় প্রতিষ্ঠিত সেই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ও বহুমাত্রিক গণতন্ত্রকে বার বার হিংস্র আক্রমণে নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শাসকরা ধ্বংসের অপচেষ্টা চালিয়েছে। দেড় দশক ধরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবিরাম সংগ্রামের পটভূমির ওপর দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থী-জনতার দুনিয়া কাঁপানো গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।’

‘সুশাসন ও নাগরিক অংশগ্রহণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করা’- এ বছরের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের এই প্রতিপাদ্যকে অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। বলেন, ‘আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হলে প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিগত ১৬/১৭ বছরে কোটি কোটি ভোটারকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেয়া হয়নি। জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা হয়েছে ভুয়া ভোটার দিয়ে। দেশের কোটি কোটি ভোটার অর্থবহ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

‘দেশের কয়েক প্রজন্ম গণতান্ত্রিক অধিকারের চর্চা ও প্রয়োগ ছাড়াই একটি ভীতিকর ও কতৃর্ত্ববাদী পরিবেশে বেড়ে উঠেছে। অপশাসনে সংকুচিত স্বাধীনতা ও সৃজনশীলতা তথা মানবিক, মানসিক বিকাশ ও প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিনযাপন করতে হয়েছে। তরুণদের উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎকে নস্যাৎ করা হয়েছে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন; বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সব মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ।

‘ইনশাআল্লাহ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেখানে নিশ্চিত হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ এবং সামাজিক স্থিতি ও ন্যায়পরায়ণতা।’

এ বিভাগের আরো খবর