চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি শিপইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় তেলের ট্যংকারে বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম ও বরকতুল্লাহ মারা গেছেন। আজ শনিবার ভোরের দিকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন তাদের মৃত্যু হয়। এর আগে আল-আমিন নামে আরও একজন মারা যান। এ নিয়ে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়াল ছয়জন।
বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা যাওয়া জাহাঙ্গীরের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালি থানার বেতকা গ্রামে। তার বাবার নাম আবেদ আলী হাওলাদার। আর বরকতুল্লাহ বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া থানার আলমগীর সওদাগর গ্রামে। তিনি মোহাম্মদ আইয়ুব আলীর ছেলে। তারা জাহাজ কাটার শ্রমিক ছিলেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, আজ শনিবার ভোরে বার্ন ইনস্টিটিউটে আইসিইউ-তে মারা যান দু’জন। জাহাঙ্গীর আলমের শরীরের ৭০ শতাংশ ও বরকতুল্লাহর ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
ওই বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে আবুল কাশেম ও আনোয়ার হোসেন বার্ন ইউস্টিটিউট চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির তেঁতুলতলার এসএম শিপইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় ট্যাঙ্কি বিস্ফোরণে ১২ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে আটজনকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসার পথেই আহমাদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি মারা যান। এর আগে বার্ন ইনস্টিটিউটে গত রোববার খাইরুল, সোমবার হাবিব ও পরে আল-আমিন নামে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়।