ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা সীমান্তে গুলিতে নিহত কিশোর জয়ন্ত কুমার সিংহের মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোর জয়ন্ত স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। বিএসএফের গুলিতে আহত হন তার বাবা মহাদেব।
ধনতলা সীমান্তের ৩৯৩ নম্বর পিলার এলাকার শূন্যরেখায় বুধবার রাত দেড়টার দিকে জয়ন্তের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
বালিয়াডাঙ্গী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জয়ন্তের লাশটি গ্রহণ করেন।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, ‘ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বিএসএফের গুলিতে জয়ন্ত কুমার সিংহের মৃত্যু হয়। বিএসএফের কাছে লাশ গ্রহণের পর জয়ন্তের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাতেই স্থানীয় শ্মশানঘাটে লাশটির সৎকার করে তার পরিবারের লোকজন।’
মরদেহ হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশের পক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ, বিএসএফ ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত সোমবার ভোররাতে ঠাকুরগাঁওয়ের ধনতলা সীমান্তের ৩৯৩ পিলার এলাকা দিয়ে মহাদেব, তার একমাত্র ছেলে জয়ন্ত ও প্রতিবেশী দরবার হোসেনসহ আরও ১৫ থেকে ২০ জন ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন। ওই সময় ভারতের ডিঙ্গাপাড়া সীমান্তের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে স্কুলছাত্র জয়ন্ত কুমার সিংহের মৃত্যু হয়।
পরে বিএসএফ সদস্যরা স্কুলছাত্র জয়ন্তের মরদেহ ভারতে নিয়ে যায়।
এদিকে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন জয়ন্তের বাবা মহাদেব চন্দ্র ও প্রতিবেশী দরবার হোসেন এবং বাংঠু মোহাম্মদ। তারা দুজন বাংলাদেশে ফিরে এসে রংপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে ধনতলা সীমান্তের শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয় এবং মরদেহ ফেরতের দাবি জানানো হয়।