চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শনিবার শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ একজনের মৃত্যু হয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
৩৮ বছর বয়সী আহমাদুল্লাহর মৃত্যু হয় রোববার সকাল সোয়া ছয়টার দিকে, যিনি শিপইয়ার্ডের প্রজেক্ট ম্যানেজার ছিলেন।
এর আগে বিস্ফোরণে দগ্ধ আটজনকে ভর্তি করা হয় বার্ন ইনস্টিটিউটে। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হওয়ায় এখন হাসপাতালটিতে ভর্তি আছেন সাতজন।
বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া দগ্ধ অন্যরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), আবুল কাশেম (৩৯), বরকাতুল্লাহ (২৩), আনোয়ার হোসেন (৪৫), খাইরুল ইসলাম (২৩), আলামিন (২৩) ও হাবিবুল্লাহ হাবিব (৩৫)।
দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা নাজমুল ইসলাম জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সীতাকুণ্ডে এস এন করপোরেশনের শিপ ইয়ার্ডে জাহাজের সিট কাটার সময় তেলের ট্যাংকারে বিস্ফোরণে এক কর্মকর্তাসহ ১২ জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আটজনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়। রোববার সকালের দিকে প্রজেক্ট ম্যানেজার আহমাদুল্লাহর মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, হাসপাতালে থাকা অন্যদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ আটজন পেশেন্ট (রোগী) চিকিৎসার জন্য এখানে এসেছেন। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালের দিকে একজন মারা যান।
‘বাকি সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সাতজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসার জন্য ভর্তি রাখা হয়েছে।’