চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙা কারখানায় স্ক্র্যাপ জাহাজের পাম্প রুমে কাটিং কাজ করার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন ১২ জন শ্রমিক, যাদের মধ্যে দশজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর তেঁতুলতলা এলাকায় সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরীর মালিকানাধীন এস এন করপোরেশন নামের জাহাজ ভাঙা কারখানায় শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় আহত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাহাজ ভাঙা কারখানায় স্ক্র্যাপ জাহাজের কাটিং কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। জাহাজটির পাম্প রুমের ভেতরে কাটিং কাজ করার সময় হঠাৎ সেখানে থাকা একটি ট্যাংকে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণে আগুন ধরে যাওয়ার পাশাপাশি কেঁপে ওঠে কারখানার আশপাশ। এ সময় পাম্প রুমের ভেতরে জাহাজ কাটার কাজ করা ১২ শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হন। অন্যরা তাদেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
জাহাজ কারখানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান, স্ক্র্যাপ জাহাজটি কাটার কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে ছিল। দুপুরে জাহাজের শেষ প্রান্তে থাকা পাম্প রুমের কাটিং কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। এই সময় হঠাৎই পাম্পের ভেতরে থাকা ট্যাংকে বিস্ফোরণ ঘটে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে দশজনের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাদের কেউই আশঙ্কামুক্ত নন।
দগ্ধদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের শরীরের ৭০ শতাংশ, আহমেদ উল্লাহর ৯০ শতাংশ, কাশেমের ৩৫ শতাংশ, সাগরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ, আল আমিনের ৮০ শতাংশ, খায়রুলের ৮০ শতাংশ, হাবিবের ৪০ শতাংশ, বরকতের ৫০ শতাংশ, আনোয়ারের ২৫ শতাংশ এবং রফিকের ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
দগ্ধদের মধ্যে সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চমেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘তাদের বার্ন আইসিইউ সহায়তার প্রয়োজন হবে, যা চমেকে নেই।’