বকেয়া মজুরি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার দাবিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকরা।
দুই দাবিতে কমলগঞ্জে ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) মালিকানাধীন কুরমা চা বাগানে শুক্রবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন প্রায় দেড় হাজার চা শ্রমিক। তারা ২০ দিন ধরে এ কর্মসূচি পালন করছেন।
সাপ্তাহিক মজুরি না দেয়ায় উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মদনমোহনপুর, চাম্পারায়, বাঘাছড়া, পদ্মছড়া চা বাগানে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন চা শ্রমিকরা।
আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার কুরমা চা বাগানের কারখানার ফটকের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন চা শ্রমিকরা।
মাবনবন্ধনে কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাসী বলেন, ‘চা বাগানের শ্রমিকদের ২০ দিন ধরে মজুরি বন্ধ রয়েছে। শুধু মজুরি নয়, তাদের রেশন ও চিকিৎসা সেবাও বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালগুলোতে ওষুধ নেই। এ ছাড়াও ১৫ মাস ধরে আমাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দিচ্ছে না। কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সবকিছু লুটেপুটে খেয়েছে।
‘কত কষ্ট করে প্রতিদিন শ্রমিকরা কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু মজুরি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে করে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেক দোকানিরা বাকি দিতে চাইছে না। দ্রুত বকেয়া মজুরি প্রদান না করা হলে আগামী সোমবার থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
মাবনবন্ধনে চা শ্রমিক মুক্তার রানী বাউরী বলেন, ‘মজুরি বন্ধ দুই সপ্তাহের ওপরে। পরিবারের লোকজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। এখন আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।’
আরেক শ্রমিক সাথী বিলাস বলেন, ‘মজুরি বন্ধ থাকায় বাগানের কোনো দোকানপাট থেকে বাকিতেও কোনো কিছুই ক্রয় করতে পারছি না। এভাবে মজুরি বন্ধ থাকলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।’
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নুরুল হক, পঞ্চায়েত সদস্য নওশাদ আহমেদ, বালক দাস পাইনকা, চা শ্রমিক সন্ধ্যা বুনার্জী, প্রদীপ রজক, যোগেশ রজত, দিলীপ পাইনকা, চা নেত্রী গীতা রানী কানু।
শ্রমিকদের প্রতিবাদের বিষয়ে কুরমা চা বাগানের ম্যানেজার ইউসুফ খাঁন বলেন, ‘কোম্পানির পরিচালনা পরিষদ ভেঙে গেছে। তাই সমস্যা হচ্ছে। পুনরায় পরিচালনা পরিষদ গঠন হলে সমস্যা থাকবে না।’