বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হারিছ চৌধুরীর ‘মৃত্যু’: কবর থেকে নমুনা নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৭:২৫

হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন বলেন, ‘সদ্য বিদায়ী স্বৈরাচারী সরকার ও তাদের গোয়েন্দা বিভাগ একটা নাটক রচনা করে বাবার মৃত্যুকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমার বাবার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ থাকবে– সন্তান হিসেবে এটা খুব মর্মান্তিক, কষ্টদায়ক। তাই এটা শেষ করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’

সাভারের জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদ্রাসার কবরস্থানে ‘মাহমুদুর রহমান’ নামে দাফন করা ‘আবুল হারিছ চৌধুরী’র পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সিআইডির পরিচালকের প্রতি এই আদেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিনের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহদীন চৌধুরী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন রেদওয়ান আহমেদ রানজীব ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।

রুলে সাভারের জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদ্রাসার কবরস্থানে মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে দাফন করা মরদেহটি আবুল হারিছ চৌধুরীর কিনা তা নির্ধারণে কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্ট করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না; ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর আবুল হারিছ চৌধুরীর নামে ডেথ সার্টিফিকেট কেন ইস্যু করা হবে না; তার নামে থাকা ইন্টারপোল রেড নোটিশ কেন প্রত্যাহার করা হবে না, তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নিজ জেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধার যথাযথ সম্মান দিয়ে কেন কবরস্থ করা হবে না সেসব জানতে চাওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, রেজিস্ট্রার জেনারেল (জন্ম ও মৃত্যু), সিআইডির পরিচালক, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার ও সাভার মডেল থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে ২০২১ সালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীকে ‘মাহমুদুর রহমান’ পরিচয়ে ঢাকার সাভারের জালালাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

হারিছ চৌধুরীর মেয়ে বলেন, ‘সদ্য বিদায়ী স্বৈরাচারী সরকার ও তাদের গোয়েন্দা বিভাগ একটা নাটক রচনা করে বাবার মৃত্যুকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। মিডিয়া একটার পর একটা রিপোর্ট করেছে যেখানে বলা হয়েছে যে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। এটা নিয়ে যেন কখনও প্রশ্ন না ওঠে সেটা ডিটারমিন করার জন্য এ রিট করেছি।

‘আমার বাবার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ থাকবে– সন্তান হিসেবে এটা খুব মর্মান্তিক, কষ্টদায়ক। এখনও মানুষ জিজ্ঞেস করে সত্যিই কি মারা গেছেন? আমাদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তাই এটা শেষ করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালত নিরাশ করেননি।’

এ বিভাগের আরো খবর