প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য কমিশনাররা পদত্যাগ করেছেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে সিইসি পদত্যাগের এ ঘোষণা দেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘সরকার বারবার বলেছেন, ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। আমি আরেকবার উচ্চারণ করে বলছি, সরকার বারবার বলছে, ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। নির্বাচন বারংবার ব্যর্থ হওয়ার প্রকৃত সত্য কারণ এই কথাটির মধ্যেই নিহিত।
‘কমিশনের সদস্যরা সংবিধান মেনে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আমাদের কর্মকালে আমরা গণমাধ্যম, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনীসহ আবশ্যক সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি। আমি আজ বিদায়লগ্নে কৃতজ্ঞ চিত্তে সেটি স্মরণ করছি।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান ও অতীত থেকে আহরিত অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, উপলব্ধি থেকে ভবিষ্যতের জন্য কিছু প্রস্তাবনা সরকারের সদয় বিবেচনার জন্য রেখে যাওয়া আমরা আমাদের কর্তব্য মনে করছি। বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর সমরূপতা/হোমোজিনিটির কারণে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ ক্ষেত্র হতে পারে। সেই সাথে নির্বাচন চার বা আটটি পর্বে, প্রতিটি পর্বের মাঝে তিন থেকে পাঁচ দিনের বিরতি রেখে অনুষ্ঠান করা ব্যবস্থাপনার দিক থেকে সহজ ও সহায়ক হতে পারে।
‘আমাদের প্রবর্তিত অনলাইনে নমিনেশন (মনোনয়নপত্র) দাখিল অব্যাহত রেখে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তির ব্যবহার অপটিমাইজ করতে পারলে আমাদের ধারণা এটি ভবিষ্যতের জন্য উত্তম হবে। অধিকন্তু প্রতিটি সাধারণ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হলে উদ্দেশ্য অর্জন আরও সুনিশ্চিত হতে পারে। পরিশেষে আপনাদের অবহিত করতে চাই, আমিসহ মাননীয় কমিশনারগণ দেশের পরিবর্তিত বিরাজিত অবস্থায় পদত্যাগ করতে মনস্থির করেছি।’