অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি মাসের শেষ দিকে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার যাত্রার তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’
তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা সংক্ষিপ্ত সফরে নিউ ইয়র্কে যাবেন।
ড. ইউনূস নিউ ইয়র্কে এই সফরকালে সীমিতসংখ্যক সাইডলাইন বৈঠকে অংশ নিতে পারেন বলে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্ন ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে করার পরামর্শ দেন।
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকার প্রয়োজনে আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী কাজ করবে বলে তৌহিদ হোসেন পুনর্ব্যক্ত করেন।
রেলওয়ে সেক্টরসহ ভারতের সঙ্গে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সম্পর্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, সমঝোতা স্মারকগুলো বহাল রাখা আইনত বাধ্যতামূলক নয়। জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য এ ক্ষেত্রে সর্বদা পর্যালোচনার সুযোগ রয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান এর আগে বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোন কোন ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে সেসব বিষয়ে তার সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বিনিময়ের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ।
‘যদি তিনি তা করেন তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়ার পর এটি হবে তার সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক প্লাটফর্মে বক্তব্য রাখা।’
ওয়াশিংটন ডিসির উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক কুগেলম্যান রাইট টু ফ্রিডম (আরটুএফ) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
কুগেলম্যান বলেন, অধ্যাপক ইউনূস করতে পারেন এমন অনেক কিছু আছে, কিছু বিষয় আছে যা তিনি বলতেও পারেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সর্বোপরি তার শাসন পরিচালনার জন্য, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের লক্ষ্য, সংস্কারের জন্য তার পরিকল্পনা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তার প্রচেষ্টার বিষয়ে একটি ভিশন তৈরি করতে পারেন।’