সিলেটের সড়ক ও ফুটপাত দখল করে বসা ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের নগরের লালদিঘির পাড়ে পুনর্বাসন করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত হওয়ায় স্বস্তি ফিরে আসে নগরবাসীর মধ্যে।
তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রশাসনিক স্থবিরতার সুযোগে ফের নগরের সড়ক ও ফুটপাত দখল করে পসরা সাজিয়ে বসেন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। তাতে করে ফিরে আসে সেই জনদুর্ভোগ।
এ অবস্থায় দখল হওয়া নগরের সড়ক-ফুটপাত থেকে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদে অভিযানে নেমেছে সিসিক। রোববার দুপুরে এই অভিযান শুরু হয়। প্রথম দিন নগর ভবন প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে আম্বরখানা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিসিকের প্রশাসক ও সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী (এনডিসি)।
সিসিক সূত্রে জানা যায়, প্রথম দিন শুধু হকারদের সরিয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তারা সড়ক বা ফুটপাতে বসলে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
অভিযানকালে সিসিকের নবনিযুক্ত প্রশাসক বলেন, ‘সিলেট শহরের ফুটপাত ও সড়ক অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা করছেন ভ্রাম্যমাণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। অথচ তাদের জন্য লালদিঘিরপাড়ে অস্থায়ী হকার মার্কেটের খালি স্থানে ব্যবসা পরিচালনার ব্যবস্থা করে রেখেছে সিটি করপোরেশন। সড়ক ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় নগরজুড়ে তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘জনস্বার্থে ফুটপাত ও সড়ক অবৈধ দখলদারমুক্ত করতে কয়েকদিন ধরে নগরীতে মাইকিং করা হয়েছে। সড়ক ও ফুটপাত থেকে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেয়ার জন্য সতর্ক করতে আজ (রোববার) আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি।
‘সিলেট নগরীকে সুন্দর করতে ও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের নির্ধারিত স্থানে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। তারপরও কেউ অবৈধভাবে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটালে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। অবৈধ দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারিয়া সুলতানা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ একলিম আবদীন ও জনসংযোগ কর্মকর্তা নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থ।
আরও উপস্থিত ছিলেন- কাউন্সিলর সায়ীদ মো. আব্দুল্লাহ, শান্তনু দত্ত সনতু, আব্দুল মুহিত জাবেদ, এবিএম জিল্লুর রহমান, আব্দুর রকিব তুহিন, মো. ফজলে রাব্বী চৌধুরী, হুমায়ুন কবির সুহিন, নজমুল হোসেন, মো. জয়নাল আবেদীন, মো. রিয়াজ মিয়া, আলতাফ হোসেন সুমন ও মতিউর রহমান এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোছা. রুহেনা খানম মুক্তা, শাহানা বেগম শানু, কাউন্সিলর নার্গিস সুলতানা ও বাবলী আক্তার।