বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলনে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা

  • প্রতিনিধি, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ)   
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৫:৫৪

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘কাগজপত্র না দেখে এ বিষয়ে মন্তব্য করা কঠিন। বিষয়টি আমি আপনাদের পরে জানাতে পারব।’

পাঁচ দফা দাবিতে রোববার টানা দ্বিতীয় দিনের আন্দোলন চলছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে।

পদত্যাগী ভিসিকে স্বপদে বহাল, ইউনানী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. খায়রুল আলমের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।

দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বেলা সাড়ে এগারোটায় হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ফটকে অবস্থান নিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করছেন। আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এই আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

খবর নিয়ে জানা যায়, ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী মেডিসিন অনুষদ খোলা হয়। এ অনুষদের অধীনে ব্যাচেলর অফ ইউনানী মেডিসিন ও সার্জারি এবং ব্যাচেলর অফ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ও সার্জারি নামে দুটি বিভাগ খোলা হয়।

প্রতি সেশনে ৫০ জন করে দুটি বিভাগে ১০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান, তবে কোর্স দুটি চালু করার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থী ডিজি হেলথ থেকে রেজিস্ট্রেশন পাননি। এমতাবস্থায় শিক্ষাজীবন পার করেও চাকরি পাচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে অলরেডি পাঁচটি ব্যাচ পাস করে বেরিয়ে গেছে। বর্তমানে আমাদের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার। পাস করার পরও আমরা ডিজি হেলথ থেকে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পাচ্ছি না। ফলে নামের পূর্বে ডাক্তার পদবি যোগ করতে পারছি না আমরা।

‘পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন না থাকায় আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের চাকরি দিচ্ছে না বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।’

তিনি বলেন, ‘এটি নিয়ে ২০২২ সাল থেকে আমরা আন্দোলন করছি। বিষয়টির সমাধানে ডিজি হেলথ বরাবর আমরা লিখিত আবেদন করি। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গত বছরের অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় তারা, কিন্তু চিঠি দেওয়ার প্রায় ১১ মাস পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখতে পাইনি আমরা।’

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারুক উজ জামান চৌধুরী স্যার আমাদের পক্ষে দাঁড়ান। তিনি আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। গতকাল (শনিবার) আড়াইটার দিকে শুনতে পেলাম তিনি পদত্যাগ করেছেন।

‘আমরা নিশ্চিত তিনি আমাদের পক্ষে দাঁড়ানোর কারণে জোরপূর্বক তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা তাকে স্বপদে বহাল এবং আমাদের রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের দাবিতে আন্দোলন করছি।’

বিষয়টি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি প্রফেসর ড. ফারুক উজ জামান চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে দুপুর একটার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষ ড. আবুল খায়ের।

তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নিয়েছি। ইতোমধ্যে ইউনানী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. খায়রুল আলমকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পদত্যাগী ভিসি স্যারকে স্বপদে বহাল করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

‘বিষয়টি নিয়ে তার সাথে একাধিকবার কথা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনসহ বাকি দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হবে।’

ওই বক্তব্যের পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, সব দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

বিষয়টি সম্পর্কে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘কাগজপত্র না দেখে এ বিষয়ে মন্তব্য করা কঠিন। বিষয়টি আমি আপনাদের পরে জানাতে পারব।’

এ বিভাগের আরো খবর