প্রধানমন্ত্রী পদে এক ব্যক্তিকে দুই মেয়াদের বেশি চায় না হেফাজতে ইসলাম ও অন্যা ছয়টি ইসলামি রাজনৈতিক দল। দলগুলোর পক্ষ থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় শেষে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শনিবার বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সামনে এসব দাবির কথা বলেন দলগুলোর পক্ষে হেফাজতে ইসলামের নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
হেফাজত ইসলাম ছাড়াও খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন ও নেজামে ইসলামের নেতারা এই বৈঠকে অংশ নেন।
মামুনুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদে এক ব্যক্তি দুবারের বেশি সময় যাতে না থাকেন, আমরা সেই প্রস্তাব দিয়েছি। এ ছাড়া একটা যৌক্তিক সময় নিয়ে সংস্কারগুলো করে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে বলেছি আমরা। নির্বাচনে অযথা কালবিলম্ব যেন না করা হয়, সেটাও বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘ইসলামি দলগুলোর এমন প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একমত পোষণ করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর কালবিলম্ব না করে নির্বাচনের দিকে চলে যেতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।’
যৌক্তিক সময়টা কতদিনের- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব বলেন, ‘যৌক্তিক সময়ের বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি। সুনির্দিষ্ট কোনো মেয়াদ নিয়ে আমরা আলোচনা করিনি।’
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিটি দল সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছে জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, ‘মৌলিকভাবে যে প্রস্তাবগুলো এসেছে তার মধ্যে অন্যতম ছিল নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার। দেশব্যাপী সব ভোটারের প্রতিনিধিত্ব যাতে জাতীয় সংসদে নিশ্চিত করা যায়, সে ধরনের একটা মৌলিক পরিবর্তন ও সংস্কারের প্রস্তাব আমরা দিয়েছি।’
হেফাজতের এই নেতা বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন আন্দোলনে বহু মামলা এবং শত শত ব্যক্তি হতাহত হয়েছেন। অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সব হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা, দায়ী ও নির্দেশদাতাদের যাতে বিচারের মুখোমুখি করা যায়, সে দাবি জানিয়েছি আমরা।’
মামুনুল হক আরও বলেন, ‘ইসলামবিরোধী কোনো আইন যাতে প্রণয়ন করা না হয় আমরা সেই প্রস্তাব দিয়েছি। পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের মামলা নির্বাহী আদেশ অথবা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেন প্রত্যাহার করা হয়, সে জন্য আমরা এক মাসের সময়সীমা উল্লেখ করেছি।’