আওয়ামী লীগ নেতা ইসহাক আলী খান পান্নার মরদেহ বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পুলিশ।
সিলেটের তামাবিল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ ফেরত পাঠানো হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা সম্রাট তালুকদার জানান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পান্নার মরদেহ নিয়ে তার স্বজনরা পিরোজপুরে গ্রামের বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন।
এর আগে স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পান্নার মরদেহ বাংলাদেশে পাঠাতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নানা প্রক্রিয়া অনুসরণ শেষে শনিবার মেঘালয় পুলিশ এ রাজনীতিকের মরদেহ তামাবিল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। মরদেহ হস্তান্তরের সময় পান্নার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৪ আগস্ট রাতে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় প্রাণ হারান পান্না। ২৬ আগস্ট ভারতের অভ্যন্তরে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে উমকিয়াং থানা পুলিশ।
পালানোর সময় পান্নার সঙ্গে প্রায় দুই কোটি ডলার ছিল বলে স্বজনদের বরাতে জানায় ভারতের সংবাদমাধ্যম।
পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, মৃতদেহে পাওয়া পাসপোর্ট থেকে পান্নার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে শ্বাসরোধের কথা বলা হয়েছে।
পান্নার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। কপালে ছিলে যাওয়া ও ক্ষতচিহ্নের কথা বলা হয়েছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে।
ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়া (ইউএনআই) জানায়, পান্নার কাছে প্রায় দুই কোটি ডলার ছিল বলে তার স্বজনরা দাবি করেছেন, তবে মৃতদেহ উদ্ধারের সময় কোনো মুদ্রা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড় জেলা পুলিশের প্রধান গিরি প্রসাদ।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। আমরা যখন লাশ উদ্ধার করি, তখন বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও স্মার্টওয়াচ ছাড়া কোনো অর্থকড়ি পাওয়া যায়নি।’
ইসহাক আলী খান পান্না ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর তিনি দলের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহসম্পাদক হন।