বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর বাংলাদেশের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৯ আগস্ট, ২০২৪ ১৪:২০

এ সনদ সই করার পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের জন্য সরকার বা এর যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় আনার বিষয়ে ভূমিকা রাখবে জাতিসংঘ।

গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে বৃহস্পতিবার সই করেছে বাংলাদেশ।

উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সনদে স্বাক্ষর করেন। ওই সময় বাকি উপদেষ্টারা করতালির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ। আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের এক দিন আগে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার ১৫ বছরের দীর্ঘ স্বৈরাচারী শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা জোরপূর্বক প্রতিটি গুমের ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করবে অন্তর্বর্তী সরকার।’

বিশ্বের সব নাগরিকের সুরক্ষায় ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ৩২টি দেশ এটি অনুস্বাক্ষর করার পর ২০১০ সালে এ সনদের বাস্তবায়ন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫টি দেশ এ সনদে যুক্ত হয়েছে।

আগামীকাল ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের এক দিন আগে বাংলাদেশও এ সনদে যুক্ত হলো।

গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদের লক্ষ্য হলো গুম বন্ধের পাশাপাশি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা দেয়া।

গত তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অনেক মানুষ গুম ও নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সময়ে গুম ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ব্যাপক সমালোচনা হয়।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর পর ‘আয়নাঘর’ হিসেবে পরিচিত গোপন বন্দিশালা থেকে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি মুক্ত হন। এখনও ১৫০ জনের বেশি মানুষের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক ৯টি সনদের আটটিতে সই করলেও এতদিন এ সনদে যুক্ত হয়নি বাংলাদেশ।

গত ১৫ বছর ধরে গুমবিরোধী সনদে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার তাগিদ ছিল। শেখ হাসিনা সরকার তার আমলে সে দাবি অগ্রাহ্য করে চলছিল।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিদায় হয়। এর পর দায়িত্ব নেয়া ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ দেশের সব নাগরিকের মানবাধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

সরকার দীর্ঘদিন ধরে দেশে চলে আসা গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেছে।

এ লক্ষ্যেই অন্তর্বর্তী সরকার গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হওয়ার ত্বরিত সিদ্ধান্ত নেয় এবং কোনো রকম শর্ত ছাড়াই এ সনদে যুক্ত হয় বাংলাদেশ।

এ সনদ সই করার পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের জন্য সরকার বা এর যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় আনার বিষয়ে ভূমিকা রাখবে জাতিসংঘ।

এ বিভাগের আরো খবর