আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তিনি এ কথা বলেন। সূত্র: বাসস
বৈঠকে রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশে নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি অনুসন্ধান ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে সহায়তা বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাইন অপসারণের কথা স্মরণ করেন।
তিনি তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্যান্য পণ্য রাশিয়ায় আমদানি বাড়ানোর আহ্বান জানান। বর্তমানে রাশিয়ায় বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৯০ শতাংশ তৈরি পোশাক।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি বহুমুখীকরণ করতে হবে।’
বাংলাদেশের খাদ্যশস্য এবং সারের বড় একটি অংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার।
গত বছর রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন টনের বেশি গম আমদানি করেছে এবং চলতি বছর আমদানির পরিমাণ ইতোমধ্যে দুই মিলিয়ন টন অতিক্রম করেছে।
রাষ্ট্রদূত জানান, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম ভোলা দ্বীপে এবং দেশের অভ্যন্তরে আরও পাঁচটি গ্যাস কূপ অনুসন্ধান করতে আগ্রহী। বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানিতেও রাশিয়া আগ্রহী বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি আগামী বছর চালু হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা অর্থনৈতিক ও শিক্ষা সহযোগিতা এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।