বেআইনি সমাবেশ ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় আনসারের চার হাজার ১১৪ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলায় আসামি হিসেবে ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ৯৫ আনসার সদস্যকে। তাদেরকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।
পল্টন থানার ওসি মোল্লা মো. খালিদ হোসেন বলেন, ‘১১৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও চার হাজার আনসার সদস্যকে আসামি করে মামলটি দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রোববার প্রায় ১০ হাজার আনসার সদস্য একত্রিত হয়ে সচিবালয় ঘেরাও করেন। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাত উপদেষ্টাসহ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
উত্তেজিত আনসার সদস্যদের শান্ত করতে ওইদিন বিকেলে আনসার ও ভিডিপি মহাপরিচালক সচিবালয়ে আসেন এবং আনসার সদস্যদের সব দাবি মেনে নেন।
দাবি মেনে নেয়ার পর বিক্ষোভরত আনসার সদস্যদের একটি অংশ সচিবালয় এলাকা ত্যাগ করেন। তবে অপর একটি অংশ সচিবালয় এলাকা ত্যাগ না করে আনসার ও ভিডিপি মহাপরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় কিছু আনসার সদস্য সচিবালয়ের তিন নম্বর গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালান।
এ সময় উত্তেজিত আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছাত্রদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সচিবালয়ের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর টহলের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠি দিয়ে আঘাত করেন আনসার সদস্যরা। এ সময় ছয়জন সেনাসদস্য আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের জনের অবস্থা গুরুতর।
পরবর্তীতে সচিবালয় এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে বিক্ষুব্ধ আনসার সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এরপর সচিবালয়ে অবরুদ্ধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাত উপদেষ্টা, ডিজি আনসার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সচিবালয়ের কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীর সহায়তায় সচিবালয় এলাকা নিরাপদে ত্যাগ করেন।