সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
রাজধানীর শান্তিনগরের একটি বাসা থেকে শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় বাসস।
পল্টন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা মো. খালিদ হোসেন বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি সম্বন্ধীর বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। সেখান থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি এখন ডিবি কার্যালয়ে আছেন।’
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জোবায়ের হোসেন বাসসকে জানান, রূপগঞ্জে রোমান মিয়া নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গত ২১ আগস্ট করা মামলায় গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
গত ২১ আগস্ট বুধবার বিকেলে নিহত রোমান মিয়ার খালা রিনা বেগম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
পুলিশ পরিদর্শক জোবায়ের হোসেন জানান, রোমান মিয়া (১৭) উপজেলার চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি পুনর্বাসন কেন্দ্রের নব কিশলয় উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
মামলায় সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, গোলাম দস্তগীরের ছেলে গাজী গোলাম মূর্তজা, পাটমন্ত্রীর পিএস এমদাদুল হক, ফিরোজ ভূঁইয়া, সদ্য সাবেক রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নাম আছে।
এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় চনপাড়ায় ছাত্র-জনতা একটি আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলকে পণ্ড করতে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, গোলাম দস্তগীর ও গোলাম মূর্তজার নির্দেশে আওয়ামী লীগের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। ওই সময় নিহত রোমানের গলা, ঘাড়, হাত, বুক ও পিঠে কয়েকটি গুলি লাগে। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। পরে বিনা ময়নাতদন্তেই তাকে দাফন করা হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের এমপি হয়েছিলেন গোলাম দস্তগীর গাজী।