বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জানিয়ে ইউএনবি বলেছে, বন্যার কারণ হিসেবে বাংলাদেশে যা বলা হচ্ছে তা তথ্যগতভাবে সঠিক নয় বলে দাবি করেছে দেশটি।
বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক বিবৃতিতে এ অবস্থান ব্যক্ত করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা দেখছি ত্রিপুরার গোমতী নদীর উজানে ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। এটি তথ্যগতভাবে সঠিক নয়।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যবর্তী অভিন্ন নদীগুলোতে হওয়া বন্যা দুই দেশের অভিন্ন সমস্যা, যা জনগণের দুর্ভোগের কারণ এবং এর সমাধানে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর নিকটবর্তী এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে বছরের সবচেয়ে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশে বন্যা মূলত বাঁধের নিচের দিকের এই বড় জলাভূমির পানির কারণে হয়েছে।
ভারতের ভাষ্য, দুই দেশের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন আন্তসীমান্ত নদী রয়েছে বলে নদীর পানি সহযোগিতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে পানিসম্পদ ও নদীর পানি ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও পারস্পরিক উদ্বেগের সমাধান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডুম্বুর বাঁধ বাংলাদেশ থেকে ১২০ কিলোমিটার উজানে অবস্থিত। এটি কম উচ্চতার (প্রায় ৩০ মিটার) বাঁধ যা এক গ্রিডে সরবরাহের বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। বাংলাদেশও ত্রিপুরা থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে থাকে।
প্রায় ১২০ কিলোমিটার নদীর গতিপথ বরাবর অমরপুর, সোনামুড়া এবং সোনামুড়া-২-এ ভারতের তিনটি জলস্তর পর্যবেক্ষণ ক্ষেত্র রয়েছে।