বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীতে যুবদল নেতা নবীন তালুকদারকে হত্যার ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জসীম উদ্দিন এই আদেশ দেন। এর আগে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নবীন তালুকদার হত্যা মামলায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাচান। তবে আহমদ হোসেন ও মোহাম্মদ সোহায়েলের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আসামিদের কিছু বলার আছে কিনা জানতে চাইলে বিচারকের উদ্দেশে মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি চট্টগ্রামে আমার কর্মস্থলে ছিলাম। ঘটনার বিষয়ে কিছু জানি না। আমাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসিয়ে এ মামলায় গ্রেপ্তার করে আনা হয়েছে।’
আহমদ হোসেনও ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে আদালতকে জানান।
মোহাম্মদ সোহায়েল একসময় র্যাবের মুখপাত্র ছিলেন।
শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আহমদ হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতা এবং মোহাম্মদ সোহায়েল সরকারি উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। তারা মামলার ঘটনার পরিকল্পনাকারী ও মাস্টারমাইন্ড। সারা বাংলাদেশে কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় অবস্থানকালে তাদেরকে রাস্তা থেকে সরাতে ও আন্দোলন দমানোর জন্য আসামিদের পরিকল্পনায় ও পরোক্ষ মদতে অজ্ঞাতনামা দুষ্কতকারীরা আগ্নেয়াস্ত্রের মাধ্যমে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে ভিকটিম নবীন তালুকদার গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে এম সোহায়েলকে বনানী থেকে ও আহমদ হোসেনকে গুলশান থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাদের ডিবি হেফাজতে রাখা হয়। বুধবার পল্টন থানার এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।