কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মুস্তাফিজের বিরুদ্ধে জামিনে থাকা এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগকারীর নাম মোহাম্মদ আলম, যিনি টেকনাফ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
পৌরসভার সামনে সুপারির ব্যবসা করেন আলম, যিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা ছিল, কিন্তু আমি জামিনে ছিলাম। গত ১০ জুলাই সন্ধ্যায় ওই মামলার পরোয়ানা আছে বলে আমাকে গ্রেপ্তার করতে আসেন এএসআই মুস্তাফিজ।
‘আমি জামিনের কাগজ দেখালে এটা ভুয়া বলেন। ২২ হাজার টাকা দাবি করেন। অন্যথায় অন্য মামলায় দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়ার ভয় দেখান। পরে ২২ হাজার টাকা দিয়ে আমাকে মুক্তি দেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই মুস্তাফিজ টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা ছিল। সে জামিনে ছিল, এটা মিথ্যা কথা। আমি ২২ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিই।
‘এ টাকা আমি পুরোপুরি নিইনি। আমি ১০ হাজার টাকা নিছি আর ওসি স্যারকে দিছি ১০ হাজার টাকা। বাকি দুই হাজার টাকা কনস্টেবলকে দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন সব টাকা আমরা খাই না।’
এ বিষয়ে জানতে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণিকে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সঙ্গে সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকলে এএসআই এবং ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’