সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সোমবার রাতে এক বার্তায় এ তথ্য জানায়।
ডিএমপির বার্তায় বলা হয়, ‘সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে আজ (১৯ আগস্ট/২৪) রাতে ধানমন্ডি এলাকা থেকে মোহাম্মদপুর থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনে নাঈমুর রহমান দুর্জয়, জুনাইদ আহ্মেদ পলক, ডা. মুরাদ হাসানসহ অনেক তরুণকে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন দেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের নির্বাচনে আরেক তরুণ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ খান জয়কে মনোনয়ন দেয়া হয়।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হওয়ার পর সাবেক এ ফুটবলারকে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন শেখ হাসিনা।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এ অধিনায়কের এমপি ও মন্ত্রী হওয়াটা ছিল রাজনীতিতে বড় ধরনের চমক। তার উত্থান ছিল যতটা চমকের, মেয়াদ শেষে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া ছিল ততটাই আলোচিত খবর।
উপমন্ত্রী হওয়ার পর একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন জয়। মন্ত্রী হয়েও তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লীগের ডাগআউটে দাঁড়ানো, খেলার মাঠে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রবেশ, পুলিশের এসআইকে মারধর, ব্যানারে নাম না থাকায় নিজ মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবের কক্ষ ভাঙচুর করেন তিনি।
এলাকায় তার ভাইদের প্রতাপ ও বেপরোয়া আচরণ এবং অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির জন্যও তিনি সমালোচিত ছিলেন। তার নিজের আচরণও ছিল লাগামছাড়া। ফলে আর দ্বিতীয়বারের মতো মনোনয়ন পাননি।