নারায়ণগঞ্জে ৫ আগস্টের সংঘর্ষের সময় এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ ৪৫ জনের নামে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএনবি।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সাত্তারের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, নিহত আবুল হাসানের বড় ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে শনিবার রাতে থানায় মামলাটি করেন।
ইউএনবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, একটি কোমল পানীয় কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি আবুল হাসান (২০) জেলার বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা এলাকার বাসিন্দা।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি সেলিম ওসমান, শামীম ওসমানের ভাগ্নে আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল করিম।
এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা প্রায় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে নারায়ণগঞ্জের মিশনপাড়া এলাকায় আবুল হাসানকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের মধ্যে শেখ হাসিনা ও অন্য আসামিদের নির্দেশে হাসানকে হত্যা করেন অয়ন ওসমান।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে চাষাড়া এলাকায় সংঘর্ষে আবুল হাসান গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরের দিন সকালে তার মৃত্যু হয়।