বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণহানি ছয় শতাধিক: জাতিসংঘ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৬ আগস্ট, ২০২৪ ২৩:৪৭

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে গুলি এবং অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহারের ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, যদিও বিক্ষোভকারীরা সশস্ত্র ছিল না। কারফিউ, ইন্টারনেট বন্ধ থাকা, চলাচলে বিধিনিষেধের কারণে তথ্য সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালগুলোকে হতাহতদের বিষদ বিবরণ দিতে বাধা দেয়া হয়েছে। এজন্য প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা জানা যায়নি।

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনের সময় ছয় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে কতজন নিহত হয়েছে সেই সংখ্যা সম্ভবত জানা যায়নি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অফিসের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। শুক্রবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ এবং অস্থিরতার প্রাথমিক বিশ্লেষণ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও আন্দোলনকারীদের দেয়া তথ্য অনুসারে, ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্টের মধ্যে ছয়শ’ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে।

এর মধ্যে ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ৫ থেকে ৬ আগস্টের মধ্যে বিক্ষোভের সময় প্রায় ২৫০ জন নিহত হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সেই সময় থেকে প্রতিশোধমূলক হামলায় নিহতদের সংখ্যা এখনও নির্ধারণ করা যায়নি। ৭ থেকে ১১ আগস্টের মধ্যে বেশ কিছু প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে, যারা সহিংসতায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

নিহতদের মধ্যে রয়েছে বিক্ষোভকারী, পথচারী, ঘটনা কভার করা সাংবাদিক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী এবং পথচারী আহত হয়েছে। এ সময় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা আহত মানুষের ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে।

নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত জানা যায়নি। কারণ কারফিউ, ইন্টারনেট বন্ধ থাকা, চলাচলে বিধিনিষেধের কারণে তথ্য সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালগুলোকে হতাহতদের বিষদ বিবরণ দিতে বাধা দেয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ প্রাণহানি ও আহত হওয়ার জন্য দায়ী করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র সংগঠনকে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে তাজা গুলি এবং অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহারের ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, যদিও বিক্ষোভকারীরা সশস্ত্র ছিল না বা শুধু হালকা সশস্ত্র ছিল। নিরাপত্তা বাহিনী বেআইনিভাবে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগ করেছে, যখন নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীরা কোনো হুমকি প্রদর্শন করেনি। এতে অন্তত চারজন সাংবাদিক এবং কমপক্ষে ৩২টি শিশুসহ অনেক আহত হয়েছে।

এছাড়া অনেককে আটক করা হয়েছে যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১২ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত শুধু ঢাকাতেই কমপক্ষে চার লাখ ৫০ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তি এবং দুই হাজার চিহ্নিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্তত ২৮৬টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই বিরোধী দলের সদস্য।

বাংলাদেশে, প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে প্রায়শ শত শত ব্যক্তিকে বেনামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা ব্যাপকভাবে নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

সিভিল সার্ভিসের পদে চাকরিলাভের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের লক্ষ্যে সূচিত আন্দোলন প্রাথমিকভাবে শান্তিপূর্ণ ছিল, যা ২০২৪ সালের জুনের মাঝামাঝি শুরু হয়েছিল। তারপর নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা সহিংসতা ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশে দ্রুত নাটকীয় ধারাবাহিক ঘটনার মধ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ ও অস্থিরতার মধ্যে সরকার গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে এবং নতুন নির্বাচনের পথে উত্তরণের লক্ষ্যে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর