সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারসহ চার দাবিতে সারা দেশে সর্বাত্মক অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এ কর্মসূচির আওতায় কেন্দ্রীয়ভাবে বৃহস্পতিবার সকাল দশটা থেকে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে শেখ হাসিনাসহ তার সহযোগীদের বিচারের দাবিতে একই সময়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বুধবার রাতে ছাত্রদল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ছাত্রদলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সেনাবাহিনীর অফিসার হত্যা, ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব, শাপলা চত্বরে অসংখ্য নিরীহ আলেম ও মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা, গত ১৫ বছরে গুম-খুন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে দানবে পরিণত করার মাধ্যমে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নৃশংসতার হোতা পলাতক খুনি হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের যথাযথ বিচারের দাবিতে ছাত্রদল এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।’
আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সপ্তাহব্যাপী রেজিস্ট্যান্স উইকের অংশ হিসেবে আমরা সারা দেশে এই সর্বাত্মক অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চার দাবি হলো ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন, সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও চৌদ্দ দলসহ যারা পরিকল্পিত ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় যারা অংশগ্রহণ করেছে, তাদের বিচার নিশ্চিত করা, প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা এবং হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদ বারংবার কায়েমের চেষ্টা করেছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও বিচার নিশ্চিত করা এবং প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।