বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম-খুন করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। তারা পালিয়ে গেলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনও রয়ে গেছে।’
রংপুরের পীরগঞ্জের মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়া মাদরাসা মাঠে বুধবার বিকেলে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব এর আগে পীরগঞ্জের জাফরপাড়া বাবনপুর গ্রামে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে দাবি জানিয়েছি, যেসব পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করতে হবে। হাসিনার বিচার করতে হবে।
‘সব গুম-খুনের বিচার করতে হবে। পুলিশ জড়িত থাকলে তাদেরও বিচার করতে হবে।’
তিনি বলেন, “হাসিনা খুব বড় গলায় বলতেন, ‘আমি পালাব না। আমি শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে, কোনোদিন পালাই না। কিন্তু আজ তিনি ভয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাসিনার বিচার করতে হবে। হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্যদের লুটপাট ও খুনের বিচার করতে হবে। অবশ্য বিচার শুরু হয়ে গেছে। আল্লাহ করে দিয়েছেন। তারা আজ নিজেরাই পালিয়েছে। আর দেশের মানুষ জেগে উঠেছে।’
বুধবার বেলা ২টার দিকে জাফরপাড়া বাবনপুর গ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন মির্জা ফখরুল। তিনি নিহত সাঈদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আবু সাঈদ বুকের রক্ত দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। সে ইতিহাস তরুণদের আত্মত্যাগের ইতিহাস। ফ্যাসিবাদী, খুনি সরকারের পতনের দাবিতে শত শত মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘লাখো মানুষ যখন গণভবনের দিকে যাচ্ছিল তখন হাসিনা ভয়ে পালিয়ে গেলেন। তবে পালিয়ে গেলেও হাসিনা চুপ করে বসে নেই। ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, মহানগরের আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।