ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে যাওয়া শেখ হাসিনাকে উৎখাতে সম্পৃক্ততার অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র ফের প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছে ইউএনবি।
বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দেশটির এ অবস্থানের কথা জানান মুখ্য উপমুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল।
শেখ হাসিনাকে উৎখাতে কোনো ভূমিকা নেই দাবি করে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস বলে, আমেরিকার হস্তক্ষেপের অভিযোগ ‘নিছক মিথ্যা’।
শেখ হাসিনার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওই দিন প্রেস ব্রিফিংয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারিন জ্যাঁ-পিয়েরে বলেন, ‘(শেখ হাসিনার পতনে) আমাদের আদৌ কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। এসব ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কোনো ধরনের প্রতিবেদন বা গুজব নিছক মিথ্যা।’
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের বরাত দিয়ে ভারতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস রোববার এক প্রতিবেদনে জানায়, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ দিতে রাজি না হওয়ায় শেখ হাসিনার পতনে ভূমিকা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইকোনমিক টাইমস আরও জানায়, ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাধ্যমে এ বার্তা সংবাদমাধ্যমটির কাছে পৌঁছে দিয়েছেন হাসিনা।
এমন পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি যে, বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা উচিত বাংলাদেশি জনগণের এবং আমরা এ অবস্থানেই আছি।’
হোয়াইট হাউসের ওই বক্তব্যের এক দিন পর শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমরা অনেক অপপ্রচার দেখছি।’