নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপি সময় দেবে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলিনি। আগেও বলেছি, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে কিছু সময় লাগবে। আমরা তাদেরকে অবশ্যই সেই সময় দিচ্ছি। আমরা তাদের সব বিষয়কে সমর্থন দিচ্ছি।’
সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটা কথা খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি- বর্তমানে দেশে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা এবং সাম্প্রদায়িকতার ধুয়া তোলা হচ্ছে। এগুলোতে জনগণ যাতে বিভ্রান্ত না হন। জনগণ যাতে আগের মতো ধর্মীয় সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রেখে, জনগণের নিরাপত্তাকে অক্ষুণ্ন রেখে সরকারকে সহায়তা করেন। আমরা পুরোপুরিভাবে সেভাবে সহায়তা করছি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদেরকে মতবিনিময়ের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। গণতন্ত্র হত্যাকারী ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘদিন অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে মানুষকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে তা থেকে মুক্তি পেয়ে মুক্ত পরিবেশে সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথম প্রধান উপদেষ্টা বসেছেন বিএনপির নেতাদের সঙ্গে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কী কী করা যায়, সে বিষয়ে আমরা মতামত দিয়েছি। সরকারও তাদের মতামত জানিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এখন সরকারকে সহায়তা করা প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষের একমাত্র কর্তব্য। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই মহলটি যারা মানুষের অধিকার হরণ করেছিল, তারা আবার বাইরে থেকে, পালিয়ে ভারতে অবস্থান নিয়ে সেখান থেকে বাংলাদেশের বিজয় নস্যাতের চক্রান্ত করছে। এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া দরকার। সব দলের সঙ্গে সরকারের কথা বলা প্রয়োজন। তবে হত্যাকারীর সঙ্গে নয়।’
এদিকে বিএনপির প্রতিনিধি দল যমুনায় থাকতেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সেখানে যায়। প্রধান উপদেষ্টা তাদের সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন।