বেশ কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর ৫ আগস্ট থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচল শুরু হয়েছে ঢাকা এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়েতে। যদিও এই সময়ে কোনো যানবাহনের কাছ থেকে টোল নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে আজ রোববার বিকেল ৩টা থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু হয়েছে।
ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেডের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) হাসিব হাসান খান রোববার এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ (রোববার) বিকেল ৩টা থেকে স্বাভাবিক টোল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যে দুটি টোলরুম পুড়েছে সেগুলো আপাতত বন্ধই থাকবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে ১৮ জুলাই রাতে বনানী ও ১৯ জুলাই বিকেলে মহাখালী টোলরুমে আগুন দেয়া হয়। সেখানে শত শত লোক টোলরুমে হামলা চালায়। সেখান থেকে একদল শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), কম্পিউটার ও ক্যামেরা খুলে নিয়ে যায়। আরেক দল আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে টোল বুথ, ছাউনি ও সিস্টেম সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
পরে কারফিউ পুরোপুরি তুলে না নেয়া পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এটির নির্মাণ ও পরিচালনা প্রতিষ্ঠান এফডিইই কোম্পানি লিমিটেড। আগুনে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এরপর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ওইদিন বিকেলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল শুরু করে। এই বাহনগুলোর এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলে বিধিনিষেধ রয়েছে। অনেকে সেদিন হেঁটেও ঘুরেছেন এক্সপ্রেসওয়েতে।
টোল না থাকলেও শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমের উদ্যোগে দু’দিনের মধ্যে রিকশা, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়। এই সময় ব্যক্তিগত গাড়ি, বাস, ট্রাক টোল ছাড়া চলাচল করে।