বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আইনজীবীদের দাবির মুখে শনিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইনবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসের খবরে বলা হয়েছিল, ‘আজ সন্ধ্যার মধ্যে পদত্যাগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আজ দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
‘কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। তা সম্পন্ন করে আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি বরাবর তিনি পদত্যাগপত্র পেশ করবেন।’
প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিদের পদত্যাগে আলটিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফর্মটির অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে দেয়া পোস্টে এ আলটিমেটামের কথা জানান।
দুপুর ১২টায় দেয়া পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেন, ‘কাউন্টডাউন শুরু। আর ৫৯ মিনিটের মধ্যে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতির পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে।’
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হওয়া আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে দুপুর সোয়া ১২টায় দেয়া স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রধান বিচারপতিসহ অ্যাপিলেট ডিভিশনের সাতজন বিচারপতির পদত্যাগ চাচ্ছি আমরা।জেলা জজ কোর্টের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের সকলের প্রতি আহ্বান কোনো জেলায় জজ কোর্টের দিকে অবস্থান নেবেন না। বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের দাবি ও কর্মসূচি স্পষ্ট। শান্তিপূর্ণভাবে শুধুমাত্র হাইকোর্টের আশেপাশে অবস্থান নিন। পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এবং দেশ গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন।’
সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে শনিবার বেলা একটা পাঁচ মিনিটের দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘আমাদের আলটিমেটাম ছিল দুপুর একটার মধ্যে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে হবে, কিন্তু এখনও তারা পদত্যাগ করেননি।‘…একটু আগে আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন উনারা কিছুক্ষণের মধ্যে পদত্যাগ করবেন, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত তারা পদত্যাগ না করেন, ততক্ষণ আমরা এখানে অবস্থান করব।’