বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদত্যাগে প্রধান বিচারপতিকে আলটিমেটাম, সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১০ আগস্ট, ২০২৪ ১২:১৪

দুপুর ১২টায় দেয়া পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেন, ‘কাউন্টডাউন শুরু। আর ৫৯ মিনিটের মধ্যে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতির পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে।’

প্রধান বিচারপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে শনিবার আলটিমেটামের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফর্মটির অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে দেয়া পোস্টে এ আলটিমেটামের কথা জানান।

দুপুর ১২টায় দেয়া পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেন, ‘কাউন্টডাউন শুরু। আর ৫৯ মিনিটের মধ্যে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতির পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে।’

এর আগে ফেসবুকে বেলা ১১টা ৪২ মিনিটে দেয়া পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার হাতে গড়া বিচারপতিদেরকে আজকেই টেনে নামানো হবে। আমরা হাইকোর্ট ঘেরাও করেছি।

‘গণঅভ্যুত্থান চলমান রয়েছে। বিষফোঁড়া উপড়ে না ফেলা পর্যন্ত অভ্যুত্থান চলবে...।’

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হওয়া আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে দুপুর সোয়া ১২টায় দেয়া স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রধান বিচারপতিসহ অ্যাপিলেট ডিভিশনের সাতজন বিচারপতির পদত্যাগ চাচ্ছি আমরা।জেলা জজ কোর্টের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের সকলের প্রতি আহ্বান কোনো জেলায় জজ কোর্টের দিকে অবস্থান নেবেন না। বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের দাবি ও কর্মসূচি স্পষ্ট। শান্তিপূর্ণভাবে শুধুমাত্র হাইকোর্টের আশেপাশে অবস্থান নিন। পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এবং দেশ গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন।’

এ প্রতিবেদন লেখার সময় আইনজীবীরা আইনজীবী ভবনের সামনে আর শিক্ষার্থীরা অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবি উঠতে থাকে।

ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন কর্মীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকে একের পর এক বিক্ষোভ আর পদত্যাগের দাবির প্রেক্ষাপটে অবশেষে পদত্যাগ করেন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।

এর আগে একজন ডেপুটি গভর্নর ও চারজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেন ব্যাংকটির আন্দোলনকারী কর্মকর্তারা।

ব্যাংক বন্ধের দিন হলেও শুক্রবার দুপুরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান আবদুর রউফ তালুকদার।

এ বিভাগের আরো খবর