জামালপুর জেলা কারাগারে বন্দিদের বিদ্রোহ বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে নিয়ন্ত্রণে এনেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় ছয়জন বন্দি নিহত এবং জেলারসহ ১৪ কারারক্ষী ও পাঁচ বন্দি আহত হয়েছেন।
বর্তমানে কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে অবস্থান করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
কারা সংশ্লিষ্টরা জানান, কয়েদিরা বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বের হওয়ার জন্য বিদ্রোহ ঘোষণা করলে কারা কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সহযোগিতায় তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে। কয়েদিরা কারাগারের ভেতর তাণ্ডব ও জিম্মি করার চেষ্টা করলে দিনভর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কারা কর্তৃপক্ষ ফাঁকা গুলি ছুড়ে রাতে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার পরের দিন শুক্রবার দুপুরে ছয়জন কয়েদির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জেলার আবু ফাত্তাহ জানান, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গ্রেপ্তারকৃতদের সরকার মুক্তি দিলে অন্য কয়েদিরা মুক্তি দাবি করেন। তারা বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্রোহ শুরু করেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পাঁচজন বন্দি ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়। এতে জেলার আবু ফাত্তাহসহ ১৪ কারারক্ষী আহত ও আরও পাঁচজন বন্দি আহত হন, যাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কারা কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, বন্দিদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে, তবে কোনো বন্দি পালাতে পারেননি। কারাগারের ভেতরে থাকা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও জেলারের কক্ষ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।