বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদারীপুরে শাজাহান খান ও বাহাউদ্দিন নাছিমের বাসভবনসহ ১০ স্থাপনায় আগুন

  • প্রতিনিধি, মাদারীপুর   
  • ৬ আগস্ট, ২০২৪ ০১:৫৭

বিকেল ৪টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা শাজাহান খানের দশতলা বাসভবন ভাঙচুর করে। তখন বাসভবনের পাশে থাকা তার মালিকানাধীন বেশ কয়েকটি স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিমের বাসভবন ও তার পারিবারিক মালিকানাধীন মাতৃভূমি হোটেল ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেয় জনতা।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুরের সংসদ সদস্য শাজাহান খান এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিমের বাসভবন, তাদের মালিকানাধীন অন্তত ১০টি স্থাপনা পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। সোমবার বিকেল ৪টার থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এসব স্থাপনা দাউ দাউ করে জ্বলছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরই মাদারীপুর জেলা শহরে আনন্দ মিছিল করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। বিকেল ৪টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা শাজাহান খানের দশতলা বাসভবন ভাঙচুর করে। তখন বাসভবনের পাশে থাকা তার মালিকানাধীন সার্বিক ইন্টারন্যাশনাল হোটেল, সার্বিক ফুড ভিলেজ, শাজাহান খান সমর্থিত আওয়ামী লীগের কার্যালয়, সার্বিক পরিবহনের কাউন্টারসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়।

শাজাহান খানের বাসভবনের পাশেই মাদারীপুর সদর থানা অবস্থিত হলেও এ সময় কোনো পুলিশকে দেখা যায়নি ঘটনাস্থলে।

পরে ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিমের বাসভবন ও তার পারিবারিক মালিকানাধীন মাতৃভূমি হোটেল ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেয় জনতা।

সরেজমিন দেখা যায়, বিক্ষুব্ধ জনতা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে হাতে লাঠিসোটা নিয়ে শাজাহান খানের ১০ তলা বাসভবন ভাঙচুর করছে। এ সময় তারা ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভবনের কাচ ভাঙচুর করে। ঠিক ৪টার দিকে যোগ দেয় সহস্রাধিক মানুষ। তারা একযোগে শাজাহান খানের অন্তত ৮টি স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী, নারী-পুরুষ একযোগে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তার বাসভবনের সামনে।

তখন মাদারীপুর সরকারি কলেজে অবস্থান করা সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্যকে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করতে হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দিতে দেখা গেছে। তবে এসময় ভিডিও করতে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। পরে বিক্ষুদ্ধরা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফারজানা নাজনীনের বাসভবন ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নোবেল বেপারীর মালিকানাধীন মোটরসাইকেল শো-রুমে আগুন দেয়। এক যুবলীগ নেত্রীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং পুরাতন কোর্ট মোড়ে নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরটিও ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। অনেক বিক্ষোভকারীকে সিলিং ফ্যান, কম্পিউটারসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে শাজাহান খান ও বাহাউদ্দিন নাছিমকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ওসি এএইচএম সালাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিভাগের আরো খবর