বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সদ্য ক্ষমতাচ্যুতরা অর্থনীতিকে ধ্বংসপ্রাপ্ত করেছে, রাজনীতিকে ধ্বংস করেছে। সবমিলে দেশকে তারা ধ্বংস করে দিয়ে চলে গেছে। আজকে এই ভয়াবহ দানবীয় হাত থেকে জাতি ও দেশ আজকে মুক্তি পেলো।
‘আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই দেশপ্রেমী সেনাবাহিনীকে। তারা আজকে উপযুক্ত সময়ে পদক্ষেপ নিয়েছে। পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের সব রাজনৈতিক দলকে তারা আলোচনা করার জন্য এখানে (বঙ্গভবন) ডেকে নিয়েছে। আন্দোলনের মূল ছাত্রনেতাদেরও নিয়ে এসে কথা বলেছেন। তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলে কতগুলো মৌলিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরমধ্যে সংসদ ভেঙে দিয়ে অতিদ্রুত একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমস্ত নেতাকর্মী, ছাত্র নেতা- যাদের অন্যায়ভাবে গত ১ জুলাই থেকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, তাদের মুক্তি দেয়া হবে। মুক্তি দেয়া হবে সেসব মানুষকে, যাদের অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
‘সিদ্ধান্ত হয়েছে, হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, সেই অবস্থায়- বিশেষ করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সব রাজনৈতিক দল কাজ করবে। ছাত্রনেতারা কাজ করবেন।
‘আমি দেশবাসীকে আহ্বান জানাতে চাই- আসুন আমরা একটা বড় বিজয় ও সাফল্য অর্জন করেছি। সেই সাফল্যকে ধরে রাখতে, আবার সেটা যাতে অন্যদিকে প্রবাহিত না হয়- সেজন্য নিজেরা সংযমের পরিচয় দেই। ক্ষোভ, ঘৃণা এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমরা যাতে আক্রমণ না করি। কোনো প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি না করি।
‘বেগম খালেদা জিয়া আপনাদের কাছে সেই আহ্বান জানিয়েছেন- ধৈর্য ধরুন, শান্ত হোন। দেশ ও জাতিকে রক্ষা করুন। আজকে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেই উদ্যোগকে সফল করুন।’
ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত করা হয়েছে। তিনি এই আন্দোলনে প্রতি মুহূর্তে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেছেন। আর এই ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাকেও অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সেটা আমরা সফল হবো, ইনশাআল্লাহ।