বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাবনায় গুলিতে তিন শিক্ষার্থী নিহত, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩২

  • প্রতিনিধি, পাবনা   
  • ৪ আগস্ট, ২০২৪ ২১:১১

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘শিক্ষাথীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছিল। এ সময় পেছন থেকে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন।’

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতার গুলিবর্ষণের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আরও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় ৩২ জন আহত হয়েছেন।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারায় রোববার দুপুরে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের আব্দুল হামিদ সড়কের ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সমাবেশে পেছন থেকে অতর্কিত গুলিবর্ষণ করা করা হয়। এ ঘটনায় তিন শিক্ষার্থী নিহত হন।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে তিনজন নিহত হওয়ার খবর শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও স্লোগান দিতে থাকে।

এদিকে দফায় দফায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ আর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান তিনজন নিহত হওয়ার তথ্য তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলো হাজীরহাট এলাকার আবুল কালামের ছেলে আরাফাত হোসেন মাহবুবুল, বলরামপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ও এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী ফাহিম হোসেন। আহতরা চিকিৎসাধীন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীরা আব্দুল হামিদ সড়কে অবস্থান নিয়েছে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষাথীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছিল। এ সময় পেছন থেকে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। পরে পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারী একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গুলি চালালে আমাদের ৩৫ জন ভাই আহত হয়। তাদেরকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনজন মারা গেছে।’

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক ও তার লোকজন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় তারা পিছু হটলে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা যুবলীগের ওই নেতার অফিস ভাংচুর করে। এছাড়াও তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর চালায়।

এই ঘটনার পর দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ চেয়ারম্যান ও তার লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালালে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাঈদ চেয়ারম্যানের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। সেই আগুন একটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিভাগের আরো খবর