সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিজিবি ও পুলিশের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। তবে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি চলাকালে রোববার দুপুর ২টায় এ সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন- উপজেলার বারকুট গ্রামের মো. মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন ও উপজেলার শিলঘাটের বাসিন্দা সানি আহমদ।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুদর্শন সেন দুজনের মৃত্যুর তথ্য মিশ্চিত করেছেন। তবে তাদের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
তবে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। যদিও তা নির্ভরযোগ্য কোন সূত্র নিশ্চিত করেনি।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থী ও জনতা ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে পুলিশ-বিজিবি সদস্য ও বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
নিহত তাজ উদ্দিনের আত্মীয় জাবেদ মাহমুদ জানান, বিকেল ২টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ রোডের গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন পুলিশের গুলিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি পালনে রোববার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ বাজারে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ এবং উভয় পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
টানা প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। এসময় শিক্ষার্থীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও আহত হন।
এছাড়া বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। সংঘর্ষে এক পর্যায়ে পুলিশকে ধাওয়া দিয়ে শিক্ষার্থীরা ঢাকা দক্ষিণ গোলাপগঞ্জ রোডের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে নিয়ে এলে সেখানে গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে গোলাপগঞ্জে শহরে আন্দোলনকারীরা মিছিল বের করলে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিকেল ৫টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গোলাপগঞ্জ-চৌমুহনী সড়ক দখলে নিয়ে আন্দোলনকারীরা মিছিল করছিল।