চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িতে হামলা হয়েছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মিছিল থেকে শনিবার সন্ধ্যায় বন্দর নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাটে মেয়রের বাড়িতে হামলা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাটে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে বহদ্দারহাটের দিকে এলে পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে মাঠে নামে। এসময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। আবার সরকারদলীয় নেতাকর্মীরাও সেখানে অবস্থান নেন।
এদিকে সংঘর্ষের সময় বারইপাড়ার মুখে পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আবদুস সাত্তার নামে এক যুবক। তবে কার গুলিতে তিনি আহত হয়েছেন তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তাকে রিকশায় করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে যাওয়া হয়।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আবদুস সাত্তার নামে এক যুবককে নিয়ে আসা হয়েছে। তার পিঠে গুলি লেগেছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।’
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘বহদ্দারহাটে সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়েছে। সেখানে কোনো ছাত্র নেই। বর্তমানে পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।’
এর আগে লালখানবাজার এলাকায় চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর অফিসে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা। এসময় বিক্ষুব্ধরা সেখানে ঢুকে ভাঙচুরও করে।
জিইসি হয়ে যাওয়ার পথে তারা সন্ধ্যায় বহদ্দার বাড়ির মেয়রের বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ঘটনার সময় মেয়র বাসভবনে ছিলেন এবং নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন মেয়রের এপিএস মো. দুলাল চৌধুরী।
পরে নগরের দুই নম্বর গেট চশমা হিলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে বাড়ির দোতলার জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে হামলাকারীরা গেট ভেঙে ঢুকে নিচে রাখা দুটি গাড়িও ভাঙচুর করে। তাৎক্ষণিকভাবে অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানা যায়নি। চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নানা স্মৃতি রয়েছে ওই বাড়িতে।