নোয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল থেকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্য ও তিন আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার বিকেল ৫টার দিকে এই অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
নুরুল আমিন নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিকেল ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও তাদের সমর্থকরা জেলা শহর মাইজদী বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। বিক্ষোভ মিছিলে তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
একপর্যায়ে বিকেল ৪টার দিকে আন্দোলনকারী ও তাদের সমর্থকরা জেলা শহর মাইজদীর টাউন হল মোড়ে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সামনে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে তারা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুই পুলিশ সদস্য ও তিনজন আওয়ামী লীগ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
হামলাকারীদের মধ্যে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে বলে জানান ওই প্রত্যক্ষদর্শী। এক পর্যায়ে তারা চলে গেলে দলীয় কিছু নেতাকর্মী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, 'বিকেলে বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে একদল দুর্বৃত্ত সুধারাম মডেল থানায় অবস্থানরত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে। এসময় বিভিন্ন দিক থেকে দুর্বৃত্তরা থানা ভবন লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে থানা ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের মধ্যে আরেকটি দল জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে গানপাউডার ও পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ভাংচুর চালায়। এতে ওই অফিসে নিচতলা ও দোতলার বিভিন্ন রুমের আসবাবপত্র পুড়ে যায়।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র শহীদ উল্লাহ খান সোহেল বলেন, ‘এতোদিন পর্যন্ত আমরা সফটভাবে দেখেছি। জেলার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ছিল। আজকের হামলায় কোটা আন্দোলনকারীরা নয়, জামায়াত ও শিবিরের সন্ত্রাসীরা জড়িত।’