বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাগড়াছড়িতে ভয়াবহ বন্যা: যান চলাচল বন্ধ সাজেক লংগদু সড়কে

  • প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি   
  • ৩ আগস্ট, ২০২৪ ১২:১৮

মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি বলেন, ‘গতকাল বিকাল থেকে মাইনি নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাচ্ছে। এর মধ্যে মেরুং হেড কোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় লংগদুর সাথে খাগড়াছড়িসহ সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।’

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও দীঘিনালা উপজেলার বিস্তৃীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

চেঙ্গী ও মাইনি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সড়কের বিভিন্ন অংশ ডুবে গেছে। এতে লংগদু ও সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

চেঙ্গী নদীর পানি উপচে পড়ে পৌরসভার মুসলিমপাড়া, শান্তিনগর, বাঙ্গালকাটি, খবংপুড়য়া, রাজ্যমনিপাড়া, ফুটবিল, বটতলীসহ কয়েকটি এলাকার হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

শহরের পৌর বাস টার্মিনাল, নিচের বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকা পানিতে নিমজ্জিত।

খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়ক দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। এ ছাড়া সদর উপজেলার কমলছড়ি ও গোলাবাড়ি ইউনিয়নের গঞ্জপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৩০০ ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে।

রাস্তায় কোমর ও গলা সমান পানি থাকায় এক রকম গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন লোকজন।

ভারি বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ও কবাখালি ইউনিয়ন ও জেলা সদরের ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

পাহাড়ি ঢলে দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে গেছে। এতে রাঙ্গামাটির লংগদুর সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বন্যায় ডুবে গেছে মেরুং বাজার।

স্থানীয়রা বলছেন, ২০০৭ সালের পর বন্যার এমন ভয়াবহতা লক্ষ করা যায়নি। এটি স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি বলেন, ‘গতকাল বিকাল থেকে মাইনি নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাচ্ছে।

‘এর মধ্যে মেরুং হেড কোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় লংগদুর সাথে খাগড়াছড়িসহ সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।’

দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ধর্মজ্যোতি চাকমা বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়ন ও কবাখালি ইউনিয়নে ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

‘টানা বর্ষণের কারণে মাইনী নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করছি।’

খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, বন্যায় পৌর এলাকার ছয় থেকে সাত হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের জন্য ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় নেয়া প্রত্যেকের খাবারের ব্যবস্থা করছে পৌরসভা।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সহিদুজ্জামান জানান, প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্গত ও পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।

এ বিভাগের আরো খবর