বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল, পাহাড় ধসের শঙ্কা

  • প্রতিনিধি, বান্দরবান   
  • ২ আগস্ট, ২০২৪ ২১:৪৫

পাহাড়ি ঢল ও নাফ নদীর উপশাখার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রুর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে দুই শতাধিক পরিবার।

অব্যাহত ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে খাল ও ছড়ার পানি বৃদ্ধি পেয়ে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কাও।

পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা শহরে সাংগু নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি, ইসলামপুর, আর্মিপাড়া, শেরে বাংলা নগর, মেম্বার পাড়াসহ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

পাহাড়ি ঢল ও নাফ নদীর উপশাখার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রুর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে দুই শতাধিক পরিবার।

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম এলাকায় পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা। ছবি: নিউজবাংলা

এদিকে প্রবল বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরে যেতে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত লাগোয়া ঘুমধুম ইউনিয়নে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের স্রোতে বাড়িঘর,রাস্তাঘাট ও কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বলেন, টানা বর্ষণ ও পাহাড় ধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে ভাইস চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনকে সভাপতি করে উপজেলা প্রকৌশলীকে সদস্য সচিব করে স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অপরদিকে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে রুমায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার।

ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পাহাড়ের পাদদেশে ও বন্যায় সাঙ্গু নদীর তীরের বন্যাকবলিত সাধারণ মানুএক আশ্রয় দিতে রুমা উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নের ২৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, দুর্যোগকালীন সাধারণ মানুষের জরুরি তথ্য ও সেবা দিতে হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। তাছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করা মানুষগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরে আসতে মাইকিং করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সাতটি উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্রে খোলা হয়েছে।

ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের আশংকা রয়েছে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর