দু’দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে। এর ফলে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জুলাইয়ে সৃষ্ট বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আবারও বন্যার কবলে পড়েছে এই দুই উপজেলার হাজারও মানুষ।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরশুরামের শালধর এলাকায় মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। এতে উপজেলার চিথলিয়া, বক্স মাহমুদ, মির্জানগর ও পৌর এলাকাসহ ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
একই দিন দুপুরে ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী নদীর একটি স্থানে বাঁধ ভেঙে ফুলগাজী ইউনিয়নে তিনটি, আমজাদ হাট ইউনিয়নে পাঁচটি ও মুন্সিরহাট ইউনিয়নে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে এসব এলাকার বিভিন্ন সড়ক, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ফুলগাজী উপজেলায় এক হাজার এবং পরশুরাম উপজেলায় দুই হাজার চারশ’জন পানিবন্দি রয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা পরবর্তী ভাঙ্গনকৃত স্থানগুলো নামমাত্র মেরামত করায় আবাবো এই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বার বার ফুলগাজী ও পরশুরামের মানুষ নদীর বাঁধ ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ভাঙ্গন স্থান দিয়ে লোকালয়ে ঢুকছে পানি বন্যার আংশকা স্থানীয়রদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ২৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
স্থানীয়রা জানান, পরশুরামের শালধরে যে স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকছে। গত জুলাই মাসে এখান ভাঙন দেখা দেয়। মেরামত শেষ হওয়ার আগেই একই স্থানে আবার ভেঙেছে।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধপ্তরের তথ্যমতে ফেনীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।