বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারি বর্ষণে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা, ভূমিধসের শঙ্কা

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম   
  • ১ আগস্ট, ২০২৪ ১৫:৫৯

আবহাওয়াবিদ আলী আকবর বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।’

আগের রাত থেকে বর্ষণে বৃহস্পতিবার জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে চট্টগ্রাম নগরে।

আজ সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নগরে ভূমিধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয় ১৫০ মিলিমিটার।

এদিকে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের কারণে দ্রুত নগরের পানি নামতে না পারায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে জনদুর্ভোগ বাড়ে।

নগরের জিইসি মোড়, প্রবর্তক মোড়, পাঁচলাইশ, চকবাজার, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, কাপাসগোলা, শুলকবহর, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ বেশ কিছু নিচু এলাকার সড়ক, বাসাবাড়ি, দোকানপাটে পানি উঠে যায়। অনেক বড় সড়কে গাড়ি চলাচল অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে।

কিছু গাড়ি আটকা পড়ে জলাবদ্ধ সড়কে। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও পথচারীরা।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আলী আকবর জানান, বৃহস্পতিবার ভোররাত চারটা ৪৫ মিনিটে জোয়ার শুরু হয়। ভাটা শুরু হয় সকাল ১০টা ৫১ মিনিটে। আবার জোয়ার আসতে পারে বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে।

চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলের মানুষ ভারি বৃষ্টিপাতের সময় জোয়ারের শঙ্কায় থাকেন।

এ সময় পানি নামতে না পেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানিবন্দী হয়ে থাকতে হয়।

নগরের পুরনো আমলের বাড়ি, দোকান, গুদামগুলোতে পানি ঢুকে দুর্ভোগ বাড়ায়, তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগে পড়তে হয়নি।

তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকসহ কর্মস্থলগামী এবং খেটে খাওয়া মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

আবহাওয়াবিদ আলী আকবর বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।’

চট্টগ্রাম নগরের ২৬ পাহাড়ের ঢালে ছয় হাজার ৫৫৮টি পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে।

এ বিভাগের আরো খবর