বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ববিতে সমাবেশে বাধা, ১২ জনকে থানায় নিল পুলিশ

  • প্রতিনিধি, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ১ আগস্ট, ২০২৪ ১৫:৪৫

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান মুকুল বলেন, ‘আজ শিক্ষার্থীদের একটি কর্মসূচি ছিল। তাদের ওপর হামলা হতে পারে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই সাময়িকভাবে ১২ জন শিক্ষার্থীকে বন্দর থানায় রাখা হয়েছে। তাদের আটক করা হয়নি। বিকেলের দিকে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।’

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ছাত্র-শিক্ষক সংহতি সমাবেশে বাধা দিয়েছে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

ওই সময় পুলিশ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সমন্বয়কসহ ১২ জন শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে বন্দর থানায় রাখে।

ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বৈষাম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সুজয় বিশ্বাস শুভ, তমাল, সিবাত আহমেদ, সুজন, সজিব, অনিকা, ভূমিকা সরকার।

বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের বাধা দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি গেটের সামনে পুলিশ ও ফটকের সামনে অবস্থান নেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা৷

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্য গেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ওই সময় পুলিশ আন্দোলনের সমন্বয়কসহ ১২ শিক্ষার্থীকে তুলে নেয়।

অপরদিকে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি পালনে বাধা দেয়। ওই সময় কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি করতে দেখা যায়।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে আটকে দেয় ছাত্রলীগ। এ সময় ছাত্রলীগের আরাফাত, রিদম ও শান্ত আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ভয়ভীতি দেখান এবং ধাক্কা দিয়ে হটিয়ে দেন।’

কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাও ঘটে।

আরটিভির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আজমাইন সাকিবকে ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে গালিগালাজ করেন ছাত্রলীগ কর্মী ইরাজ শরীফ ও শওকত। এ ছাড়াও ঢাকা টাইমসের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মাসুদকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগ নেতা আবুল খায়ের আরাফাতের বিরুদ্ধে।

সাংবাদিক লাঞ্ছনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে আবুল খায়ের আরাফাত বলেন, ‘আমি কোনো সাংবাদিক লাঞ্ছিত করিনি। ওই ছেলেটা আমার ক্যাম্পাসের ছোট ভাই। তাই ডেকে কথা বলতে চাচ্ছিলাম।’

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান মুকুল বলেন, ‘আজ শিক্ষার্থীদের একটি কর্মসূচি ছিল। তাদের ওপর হামলা হতে পারে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই সাময়িকভাবে ১২ জন শিক্ষার্থীকে বন্দর থানায় রাখা হয়েছে।

‘তাদের আটক করা হয়নি। বিকেলের দিকে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আবদুল কাইউম বলেন, ‘আমাদের ১২ জনের মতো শিক্ষার্থীকে বন্দর থানায় রাখা হয়েছে। বিষয়টি আমি জানি। এই বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলছি।’

এ বিভাগের আরো খবর