ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হেফাজত থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক ছাড়া পেয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্ট ডিভিশনে একটা মামলা হয়েছিল। এই ছয়জনকে যে ডিবি অফিসে তাদের নিরাপত্তার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেইটাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট ডিভিশনে একটা মামলা করা হয়েছিল। হাইকোর্ট সেই মামলাটা চলাকালীন আমি গতকালকে (বুধবার) শুনেছি যে, একজন বিচারপতি, তিনি অসুস্থ হিসেবে ছুটি নিয়েছেন। আমি গতকালকে পর্যন্ত জানতাম যে, তিনি অসুস্থ হিসেবে এক দিনের ছুটি নিয়েছেন। আমি গত রাত্রে জানতে পারি যে, তিনি আজকেও (বৃহস্পতিবার) ছুটিতে আছেন। তার মানে হাইকোর্ট ডিভিশনে যেই মামলাটা শুনানি হওয়ার কথা, সেই মামলাটার আজকেও শুনানি হবে না।
‘তো আজকে যেহেতু শুনানি হবে না, সরকার এবং এটাও সঠিক যে, তারা তাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই আমাদের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিল এবং সেই ব্যাপারে জিডিও করেছে। তো সেই ক্ষেত্রে আমরা আজকে তারাও যখন বলছে যে, তাদের নিরাপত্তার আর ইয়ে নাই, প্রয়োজন নাই, তো তাদেরকে আমরা ইয়ে (ডিবি হেফাজত) থেকে তারা চলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। আমরা চলে যেতে কোনো বাধা দিইনি এবং তারা চলে গেছে।’
এর আগে গত ২৮ জুলাই রাতে ডিবি কার্যালয়ে হেফাজতে থাকা অবস্থায় ভিডিও বার্তায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম। ওই সময় অন্য পাঁচ সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মো. আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম তার সঙ্গে ছিলেন।
কর্মসূচির প্রত্যাহারের ওই খবর পাওয়ার পর অন্য সমন্বয়করা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।