বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গ্রেপ্তারকৃত সব সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহারসহ ৯ দফা দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে বুধবার পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ওই সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে একাধিক শিক্ষার্থীকে আহত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গন নদীর পাড়ে অপরাজেয় একাত্তরের সামনে তারা জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তাদের সেখান থেকে বের হয়ে যেতে বলে পুলিশ।
শিক্ষার্থীদের একজনের অভিযোগ, ‘তারা আমাদের গ্রেপ্তারের হুমকি দেয় এবং মেয়েদের ওপর লাঠিচার্জ করে। পুলিশের সদর থানার ওসি ভুল বোঝাবুঝি বলে দুঃখ প্রকাশ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে আমরা সেখানে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কোর্ট চত্বরের অভিমুখে আসলে পুলিশ পৌরসভার গেটের সামনে আরও ব্যারিকেড দেয়।
‘এখানে আমাদের ওপর পুলিশ চড়াও হয়। এখানেও পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শিক্ষার্থীরা সামনে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় আমাদের একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।’
সরজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে অংশ নেন অভিভাবক, আইনজীবীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ সময় কেউ কেউ শিক্ষার্থীদের পানি ও বিস্কুট দেন।
দীর্ঘ দুই ঘণ্টা ধরে শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান করে নানা রকম স্লোগান দিতে থাকেন।
আশ্রমপাড়া থেকে আসা মোমিনা বেগম নামের অভিভাবক বলেন, ‘আমি আজ শিক্ষার্থীদের সাথে এসেছি। আমি চাই আর যেন মায়ের কোল খালি না হয়। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের যেন ছেড়ে দেয়া হয়।’
এদিকে পুলিশের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে তিনি লাঠিচার্জের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করা হয়নি।’