নির্বাহী আদেশে বুধবারের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হবে বলে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতারা সোমবার একমত হওয়ার পরের দিন মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
সচিবালয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় যে, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধেয় সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী মহোদয়ের সকালের বক্তব্য শুনেছি। আমার মনে হয় যে, তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা অত্যন্ত স্পষ্ট। টত স্পনি যে বক্তবমন্্রতো সেই ক্ষেত্রে আপনারা উনার বক্তব্যের মধ্য্যেই কিন্তু প্রথম প্রশ্নের জবাব পাবেন।
‘আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এটা ঠিক যে, আগামীকালকের (বুধবার) মধ্যে একটা ব্যবস্থা নেওয়ার এবং আমি আশা করি, আমি কিছুক্ষণ পরে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বসব এবং সেইখানে আমরা সিদ্ধান্ত নেব কোন আইনি প্রক্রিয়ায় হবে। সেটা যখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব, তখন বলব।’
আইনমন্ত্রীর উল্লিখিত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এক সাংবাদিক তার উদ্দেশে বলেন, ‘স্যার, তার মানে কি কালকের মধ্যেই কি এই সিদ্ধান্তটি হবে?’
আইনমন্ত্রী তখন বলেন, ‘ইনশাল্লাহ। দেখেন এই যে নৃশংসতা, যেটা চালানো হয়েছে গত ১৬ জুলাই থেকে ২০ জুলাই এবং কেটা আন্দোলনের নামে, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা চালানো হয়েছে, তার প্রথম কথা যেটা হচ্ছে যে, যারা কোটাবিরোধী আন্দোলন করছিলেন, তারা কিন্তু বলেছেন, এ সহিংসতার সাথে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নাই।
‘তো সেই ক্ষেত্রে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত আছে যে, এই জামায়াত, বিএনপি, ইসলামী ছাত্রশিবির এবং ছাত্রদলের যারা জঙ্গি, তারাই এটা করেছে। তো আপনি যে প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন, আমার মনে হয় যে, এই দলটাকে যদি আপনার নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা এবং দেশের রাজনীতিরও অনেক উন্নতি হবে।’
জামায়াতকে নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া নিয়ে আরেক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো দলকে যখন নিষিদ্ধ করা হয়, তখন সেটা নির্বাহী আদেশেই হয়, সেটা কোনো বিচার বিভাগীয় আদেশে হয় না।
‘যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচার করা এক কথা, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আরেক কথা। যুদ্ধাপরাধের দায়ে যদি এই আইনের যে পরিবর্তনের কথা এবং সংশোধনের কথা আমরা লিখেছি, সেই সংশোধন যদি হতো এবং সেটা হলে যেটা হবে যে, জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচার করা হবে।’