বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের চেষ্টা, আটক অর্ধশতাধিক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৯ জুলাই, ২০২৪ ১৯:৪৯

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি, জাতীয় প্রেসক্লাব, বাড্ডা, মিরপুর-১০, ইসিবি চত্বরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভের চেষ্টাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে।

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি, জাতীয় প্রেসক্লাব, পল্টন বাড্ডা, মিরপুর-১০, ইসিবি চত্বরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভের চেষ্টাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় বেশকিছু বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। মোট আটকের সংখ্যা অর্ধশতাধিক।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোমবার ঢাকার আটটি স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। এগুলো হলো- সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর গেট, জাতীয় প্রেসক্লাব, উত্তরার বিএনএস সেন্টার, মিরপুর-১০, মিরপুরের ইসিবি চত্বর, রামপুরা ও মহাখালী।

সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীর উল্লিখিত স্থানগুলোসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সতর্ক অবস্থান নেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার দুপুর ১টার দিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন কিছু শিক্ষার্থী। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা বিক্ষোভ মিছিল করার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ ধাওয়া করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় সেখান থেকে ১০ জনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

দুপুরে পুরানা পল্টন মোড়ে শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে আটক করে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

বেলা ২টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন কিছু শিক্ষার্থী। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আগে থেকেই কঠোর অবস্থানে ছিলেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে অন্তত ১৫ জনকে আটক করা হয়।

প্রায় একই সময়ে বাড্ডা এলাকায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেও ছিল পুলিশের কঠোর অবস্থান। শিক্ষার্থীরা সেখানে সমবেত হওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশি বাধায় তারা জড়ো হতে পারেননি। এখান থেকে পুলিশ তিনজনকে আটক করে।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইসিবি চত্বরে জড়ো হন বেশকিছু শিক্ষার্থী। সেখানেও ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়া হয় তাদের। এ সময় অন্তত ২০ জনকে আটক করে পুলিশ।

রাজধানী মিরপুর-১০ ও ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।

মিরপুর থানার ওসি মুন্সি সাব্বির জানান, বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।

ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে ১০ জনকে আটকের কথা জানিয়েছেন নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘যাদেরকে আটক করা হয়েছে তারা কেউই শিক্ষার্থী নয়। জামায়াত-শিবিরের আন্দোলনের ফলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হচ্ছে। তারা অন্ধকারে থেকে এসব কর্মসূচি দিচ্ছে।’

এর আগে রোববার ডিবি হেফাজত থেকে কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক যৌথ বিবৃতি দিয়ে আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশের দাবি, ওই বিবৃতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেয়া নয়। বরং ডিবি পুলিশের হেফাজতে জিম্মি করে সমন্বয়কদের এমন ঘোষণা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। পরে তারা ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর