কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংস ঘটনায় শ্রমিক-ছাত্রসহ সব হত্যার বিচার চেয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি। একইসঙ্গে এসব হত্যা ও সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করা সংগঠনটি।
সংগঠনের সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার ও সহ-সভাপ্রধান অঞ্জন দাস রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সহিংসতায় পোশাকশ্রমিক, দিনমজুর, ছাত্রসহ ২১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি।’
একইসঙ্গে কিশোর হাসনাতুল ফায়েজের রিমান্ড, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পাঁচজন সমন্বয়ককে ডিবির হেফাজতে নেয়া, নুরুল হক নুরসহ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের অমানবিক নির্যাতনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের রেশ ধরে সারা দেশে যেভাবে হত্যাকাণ্ড চলেছে তা থেকে পোশাকশ্রমিক এবং দিনমজুররাও রেহাই পাননি। প্রাণ হারিয়েছে ছাত্র এমনকি চার থেকে ১০ বছরের শিশুরাও। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন।
বিবৃতিতে সংগঠনটি বলছে, বাড্ডার পোশাকশ্রমিক ইয়ামিন চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জের শ্রমিক রাসেল, ময়মনসিংহের পোশাকশ্রমিক জামান মিয়া, সাভারের পোশাকশ্রমিক শুভ শীল, গাজীপুরের কাপাসিয়ার পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন গুলিতে নিহত হয়েছেন।
সংগঠনটি পোশাকশ্রমিকসহ শ্রমজীবী এবং ছাত্র ও শিশুদের নির্মমভাবে গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সরকারকে এই হত্যার দায় নিয়ে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
পুরো ঘটনার সব তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবিও জানান তারা।