সাম্প্রতিক সন্ত্রাস, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের দায় এড়ানোর জন্য বিএনপি প্রবঞ্চনামূলক অপকৌশল গ্রহণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তারা কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না।
শনিবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের সময়ের হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশি তদন্ত চলছে। সংঘটিত কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তদন্তের বাইরে থাকবে না।
‘এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণকে মির্জা ফখরুল ইসলাম গণগ্রেপ্তার হিসেবে অভিহিত করে রাজনৈতিক রঙ দেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কোনো গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, বিআরটিএ ভবন, মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন, সরকারি হাসপাতাল, থানা ও পুলিশ বক্সসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে এবং লুটপাট করেছে। বিএনপি-জামায়াত ও তার দোসররা কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না।’
সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে উল্লেখ করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা আইনের সর্বোচ্চ সুষ্ঠু প্রয়োগ করব। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।’
বিএনপি মহাসচিবের জাতীয় ঐক্যের আহ্বানকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-স্বাধীনতার মূল্যবোধবিরোধী ও দেশবিরোধী অপশক্তির ঐক্য এবং উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের ঐক্য বলে উল্লেখ করেন শাসক দলের দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা।
তিনি বলেন, জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যের ডাক দিয়ে বিএনপি আবার প্রমাণ করল তাদের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর। এই ঐক্যের ডাক এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের প্রতিরোধ করতে হবে।’